বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এখন থেকে পুলিশের সাধারণ সদস্যদের হাতে কোনো ধরনের প্রাণঘাতী অস্ত্র থাকবে না। বর্তমানে যাদের কাছে এ ধরনের মারণাস্ত্র রয়েছে, তাদের সেগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশের হাতে যেন কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো জমা দিতে হবে।” তবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা এ সিদ্ধান্তের আওতায় পড়বে না, কারণ তাদের দায়িত্ব ও কার্যপরিধি আলাদা। এই পদক্ষেপ পুলিশের ব্যবহারে সংযম নিশ্চিত করতে এবং অপ্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগ রোধে সহায়ক হবে বলে মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সভায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পুনর্গঠন নিয়েও আলোচনা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, র্যাবের কাঠামো, দায়িত্ব ও কার্যপ্রণালী পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংস্কারের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ পেশ করবে।
শ্রমিক স্বার্থেও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের আগেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।” একইসাথে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, কোনো অবৈধ দাবি বা বিশৃঙ্খল আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা ও শিল্প এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চাঁদাবাজি দমনে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরুর হাটগুলোতে চাঁদাবাজি রোধে প্রতিটি হাটে ১০০ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি, সড়কে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন থেকে চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৈঠকে গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো খুব শিগগিরই বাস্তবায়নের পথে নেওয়া হবে। জনসাধারণের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
Leave a Reply